ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে পেকুয়া সদরের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।

ফলে পেকুয়া সদর, শিলখালী ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ, টইটং ইউনিয়নের নিচু অংশের ২০ টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ, পেকুয়া থানা, পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস, শহীদ জিয়া কলেজ, বিএম ইনষ্টিটিউট, আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা, পেকুয়া জিএমসি, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নীচু এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহ পানির নীচে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ সড়ক সমুহ এখনো ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নীচে নিমজ্জিত রয়েছে।

এদিকে সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। সৃষ্ট বন্যার কারণে গত ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে।

বনৌজা শেখ হাসিনা সড়ক ও পেকুয়া চৌমুহনী- বাগগুজারা ব্রীজ হয়ে এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর প্রায় ৩ ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। যার ফলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ২০ টি গ্রামের অধিকাংশ বসতবাড়ি পানিতে এখনো ভাসছে। এমনকি বন্যার কারণে পুকুরের মাছ, কৃষকের বীজতলা, বসতবাড়ির মালামাল ও চিংড়ি ঘের পানিতে ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকারও বেশী ক্ষতি সাধিত হয়।

এদিকে বন্যার্তদের মাঝে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মনজু, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা, পেকুয়া সদরের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, নৌবাহিনীর পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, স্লুইচ গেটসমুহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে দেওয়া হলেও স্থানীয় কিছু অসাধু জেলে ওই স্লুইচ গেটে জাল বসিয়ে মাছ ধরতেছে। যার ফলে বন্যার পানি দ্রুত নামতে পারছে না।

এ দিকে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ পুন: নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন।

পাঠকের মতামত: